Bali Indonesia
বালি, ইন্দোনেশিয়া ভ্রমন
৪রাত ৫দিন। জনপ্রতি ১৮,৫০০/- [Full Loaded]
তাছাড়া আপনার বাজেট অনুযায়ী যদি কোন Customized প্যাকেজের দরকার হয় আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন-+8801711829502, +8801971907752 Email rftourstravelsbd@gmail.com
বালি একটি অন্যতম ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশান। প্রায় সারা বছরই ট্রাভেলারদের ভীর লেগে থাকে। তার অন্যতম কারন এর বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য।
যে কোন প্রতিষ্ঠান হতে যে কোন ধরনের ট্যুর প্যাকেজ নেয়ার আগে প্রতিষ্ঠানটি Civil Aviation & Tourism Board এর License প্রাপ্ত কিনা, IATA Accredited Travel Agency কিনা TOAB, ATAB এর মেম্বার কিনা তা অবশ্যই যাচাই করে নেয়া দরকার। এতে করে আপনার ট্যুরটি নিরাপদ এবং প্রোফেশনাল সার্ভিস পাবার নিশ্চয়তা থাকে।
তা ছাড়া যে কোনো আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং, ট্যুর প্যাকেজ, Cruise, ইউরোপিয়ান রেল/ইন্ডিয়ান অভ্যন্তরিন ট্রেনের টিকেট এর জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। +8801711829502, +8801971907752 Email rftourstravelsbd@gmail.com
☑️বালিতে যাবার আরেকটি সুবিধা হলো এতে ভিসার সমস্যা নাই। আপনার যদি ছয় মাস মেয়াদি পাসপোর্ট, রির্টান টিকেট, আর হোটেল বুকিং থাকে তাহলেই চলে যেতে পারেন বালিতে।
☑️বালি সবসময় ট্র্যাভেলার এ পরিপূর্ণ থাকে। তবে পিক সিজন হল এপ্রিল থেকে অক্টোবর। আর নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বর্ষা। তবে নভেম্বর থেকে মার্চে ভ্রমন করাই ভালো এতে হোটেল এবং এয়ার টিকেট তুলনামুলক কম পাওয়া যায়।
☑️বালির সরাসরি কোন ফ্লাইট বাংলাদেশ থেকে নেই। সিঙ্গাপুর অথবা মালয়শিয়াতে ট্রানজিট থাকে। টিকেটের মূল্য নির্ভর করবে আপনি কত আগে কনফার্ম করছেন তার উপর। কপাল ভালো হলে ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ এর মধ্যেও টিকেট পাওয়া সম্ভব। তাই আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
☑️ বালিতে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা অন এ্যরাইভাল। চাকুরিজীবিদের জন্য এন ও সি, ব্যাবসায়ী হলে ভিজিটিং কার্ড হোটেল বুকিং, আর ফেরার টিকেট দেখাতে হয়। তবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখলে একটু বেশি সময় ধরে প্রশ্ন করতে পারে, স্মাটলি হ্যান্ডল করুন। সহজেই দিয়ে দেবে ভিসা।
প্রথমদিন- আমরা বালিতে পৌছানো, হোটেল চেক ইন। বিকালে জিম্বারান বীচে যাওয়া, যেটি সী-ফুডের জন্য বিখ্যাত। জিম্বারান বীচ অত্যন্ত মনো-মুগ্ধকর। সমুদ্র সৈকতে বালির উপর খাবার টেবিল। ক্যান্ডেল লাইট, সমুদ্রের মৃদু কোমল হাওয়া। আবার একটু পর পর ৪/৫ জন মিলে এসে পাশে দাড়িয়ে পছন্দের গানও শুনিয়ে যায়। খাবারও অত্যন্ত সুস্বাদু। রাতে হোটেলে।
দ্বিতীয় দিন- ব্রেকফাস্ট করে সকালে যাবো ওয়াটার এ্যকটিভিটিজ এর জন্য (নিজ খরচে)। এখানে বিভিন্ন ধরনের এ্যকটিভিটিজ আছে তার মধ্যে জনপ্রিয়গুলোর মধ্যে একটি স্কুবা ডাইভিং, একটা স্পীড বোটে করে নিয়ে যায় সমুদ্রের বেশ ভেতরে। এরপর ডাইভিং হেলমেট পরে সমুদ্রে নামার পালা। প্রায় ২০-২৫ ফিট নীচে মই ধরে নামা যায় সমুদ্রের তলদেশে। এটার অনুভুতি মুখের ভাষাতে প্রকাশ করা সম্ভব না। সামুদ্রিক বিচিত্র লাল-নীল ডোরাকাটা মাছ, ঘাস, প্রাণী, পাথর, প্রবাল - ☑️ সমুদ্রের নীচে এক অজানা-অচেনা-অন্য পৃথিবী। পুরোই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ডিসকভারিতে যেমনটি দেখা যায় ঠিক তেমনই। এখানে পাউরুটি দিয়ে মাছদের ডাকা যায়, এরপর তো মাছেরা পুরো ঘিরে ফেলে আমাদের। মাছেরা আমাদের গায়ে, হাতে ঘষা খেতে থাকে ও ঠোকর মারতে থাকে। দারুন অদ্ভূত অনুভূতি। প্রথম প্রথম ভয় কাজ করলেও পরে ভয় কেটে যাবার পর যে মুগ্ধতা ভর করবে তার রেশ বোধ করি সারাজীবন থাকবে।
☑️ সর্বপেরি এই এক্টিভিটি সেইফ। করন পাশে সবসময় একজন ট্রেইনার থাকে, তারা সকলে উপর খেয়াল রাখে।
☑️ আপনারা সি ওয়াক-ও করতে পারেন এটা খুবই রোমাঞ্চকর সমুদ্রের নিচে হাটা এ এক অন্যরকম অনুভুতি, তাছাড়া করতে পারেন প্যারাসেইলিং, ব্যানানা বো’ট, ফ্লাইং বোট প্রভৃতি এক্টিভিটিতে অংশ নেয়া যায়। প্রত্যেকটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক।
☑️ এর পর আমরা নিয়ে যাব নুসা দুয়া ওটার ব্লো দেখার জন্য। এখান থেকে সমুদ্রটা দেখা যায় ভালো করে, জোয়ারের সময় এটা বেস্ট জায়গা কারন ঢেউ যখন আসড়ে পরে পাথরের উপর, সাথে পানি ছিকটে আসে গায়ে, অসাধারন। তাছাড়া আছে সমুদ্র সৈকত যার সৌন্দর্য কখনোও ভুলবার নয়। নীরব, নিঝুম, অসাধারন এই সৈকত। মন ভরে সূর্য ও সমুদ্রস্নান দুটোই সারা যায়, কেননা নীল আকাশের নিচে বসে নীল জলরাশি দেখে সময় কাটানোর মতো সুখস্মৃতি আপনার সারা জীবনের সম্পদ হয়ে থাকবে।
☑️ এর পর আমরা যাবো (বিকালে) উলুয়াটু টেম্পল দেখতে। এই মন্দিরের সৌন্দর্য্য অবর্ণনীয়, ব্যাখ্যাতীত। পাহাড়- সমুদ্র- স্বচ্ছ্ব ঢেউ। এই টেম্পেলটি পাহাড়ের উপর। পাহাড়ের পরেই সমুদ্র। পাহাড়ের গায়ে সাগরের ঢেউ এসে পড়ছে। নীল পানির ঢেউ, সুন্দর সে দৃশ্য। এখানে চারদিকে ছোট্ট করে দেয়াল দেওয়া। নিরিবিলি। সাগরের ঢেউ পাহাড়ে আছড়ে পড়ার শব্দ। আর বাতাস, মন জুড়ানো বাতাস। সূর্যাস্ত দেখার জন্য অনেক বসার যায়গা আছে, ঐখানে গিয়ে বসার পর আর উঠতে ইচ্ছে করে না। সূর্যাস্ত দেখা যায় সুন্দর ভাবে। এখানে প্রচুর বানর থাকে এবং স্থানীয়রা বলে এরা ১০০ভাগই “নটি”। তাই তাদের থেকে সাবধান। এমনকি মহিলাদের পরনের যে কোন ধরনের গহনা খুলে ব্যাগের রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।
তৃতীয় দিন- সকালে নাস্তা সেরে আমরা নিয়ে যাব হোয়াইট ওয়াটার রাফটিং-এ, এ্যডভেন্চারপ্রিয়দের জন্য এক কথায় অসাধারন। রাফটিং এর জন্য আমরা যাব উবুড নামক জায়গায়। সেখানে হেলমেট এবং লাইফ জ্যাকেট পড়ে আপনাদের নিয়ে যাওয়া হবে রাফটিং এর স্টার্টিং পয়েন্টে। উচু সমান খাড়া-খাড়া সিড়ি ভেঙ্গে হেটে নদীর পাড়ে পৌছতে হয়। ব্যাপক কষ্ট। যাই হোক - বালিতে দুই ধরনের রাফটিং আছে সেকেন্ডারী ও টারসিয়ারী। ফ্যামিলিদের জন্য সবাই আমদের সাজেস্ট সেকেনডারী। যদি ট্যুরে মহিলা এবং কিডস থাকে তাহলে এটা বেছে নিতে পারেন। নদীর চারিপার্শের সৌন্দর্য অত্যন্ত মনোরম। দুই পাহাড়ের মাঝখানের যাত্রাপথ, উপর থেকে পাহাড় ভেঙ্গে আসা ছোট-বড় ঝরনা, সেই ঝরনার পানিতে নৌকা থামিয়ে গা-ভেজানো, গহীন জংগল, পাহাড় খোদাই করা বিভিন্ন মূর্তি, সবমিলিয়ে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নাই। রাফটিং এর ছবি রাফটিং পয়েন্ট হতে কিনে নেয়া যায় যা সবার সৃতি হয়ে থাকবে। (ছবির দাম প্যাকেজে অন্তরভুক্ত নয়, আপনারা নিজেরাও ছবি তুলতে পারেন তবে তাদেরটা খুবই প্রফেশনাল হয়)
☑️ উবুদে ঘন বনও আছে,চাইলে বনে ঘুরে দেখা যায়, আপনাদের মধ্যে যারা রাফটিংয়ে যাবে না তারা এনজয় করতে পারনে প্রাকৃতিক পারিবেশে।
☑️ বিকালে আপনাদের নিয়ে যাওয়া হবে তানাহ-লট-এ সমুদ্রের পাদদেশে পাথুরে পাহাড়ে ঘেরা তানাহ লট পর্যটকদের আরেকটি আকর্ষণের জায়গা। স্থানটি রাজসিক প্রস্তরশৈলী, যা প্রকৃতপক্ষে তীর্থযাত্রীদের জন্য পবিত্রতম একটি জায়গা। পাহাড়ের তিনটি চূড়ায় রয়েছে আলাদা করে তিনটি মন্দির। মন্দিরের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশিল্প, নির্মল ও শান্ত পরিবেশ সকলের মনকে স্নিগ্ধ করবে। মন্দিরগুলো প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো। এর কোনো কোনোটি আবার সমুদ্রের জোয়ারে ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে পদ্মফুলের মত ভাসতে থাকে এ মন্দির। তানাহ লটে স্থানীয় কেনাকাটার জন্য ভালো, চাইলে পছন্দের অনেককিছুই কেনা যায় এখানথেকে।
চতুর্থদিন- সকালের নাস্তা করে আজ আমরা যাব বিখ্যাত “ভলকেনো” দেখার জন্য। জীবন্ত আগ্নেয়গিরি দেখার ইচ্ছে থাকলে আপনাকে এখানে আসতেই হবে। মাউন্ট বাটুরের ঝলসে যাওয়া অংশ দেখলেই বুঝা যায় কিছুকাল আগেই এখান থেকে অগ্নুৎপাত হয়েছে। কিন্তামানিতে পাহাড়ের উপর প্রচুর ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট আছে। এই রেস্টুরেন্টগুলো থেকে পাহাড়ি ভিউয়ের সাথে মাউন্ট বাটুর আগ্নেয়গিরি দেখতে পাওয়া যায় চমৎকারভাবে।
☑️ এরপর আমরা আপনাদের নিয়ে যাব “কফি প্লান্টটেশান” দেখার জন্য, কফির বাগানে বেশ কিছুক্ষন ঘুরে কিভাবে কফি তৈরি হয় তা দেখানো হবে। একটি কফি হাউজে নিয়ে আপনাদের বিভিন্ন ধরনের কফির সাথে পরিচিত করিয়ে দেয়া হবে। স্যাম্পল হিসেবে প্রায় ১৫ ধরনের কফি আমাদেরকে টেস্ট করতে দেওয়া হয়। এই কফি হাউজে ঢুকতে গিয়ে শুরুতেই খাঁচায় বন্দী লোয়াক নামের এক প্রাণীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে। ইন্দোনেশিয়ার বালি লোয়াক কফির জন্য বিখ্যাত।
☑️ বিকালে আপনাদের নেয়া হবে অন্যতম আকর্ষনীয় “রাইস ট্যারেস”-এ, উঁচু পাহাড়ে সিঁড়ির মতো কেটে ধান চাষ করা হয়। তাছাড়া আছে বিভিন্ন রাইড যেমন অন্যতম প্রধান আকর্ষণ পাহাড়ি সুইং। ভূমি থেকে কয়েকশ ফুট উপরে দোলনায় দোলাটা অনেকের জন্য হতে পারে একটি ভিন্নমাত্রার অভিজ্ঞতা (নিজ খরচে)। যাদের হার্টের প্রব্লেম আছে তাদের এই সুইং না দেয়াই ভালো। আরো আছে স্কাই সাইকেলিং এক পাহাড় হতে অন্য পাহাড়ে সরু তারের মাধ্যেমে সাইকেল চালিয়ে যেতে হয়, অবশ্যই সেফটি কিট পরে (নিজ খরচে)।
পঞ্চম দিন - এই দিন ফেরা পালা সকালে নাস্তা করে সবাইবে পৌছে দেয়া হবে এয়াপোর্টে,
হোটেল- Harris Riverview Kuta with Harris Room
যা অন্তরভুক্ত
☑️ ০৪ রাত হোটেল এবং সকালের নাস্তা
☑️ এয়ারপোর্ট পিক আপ এবং ড্রপ
☑️ প্রাইভেট কার- সাইটসিন এর জন্য
☑️ সকল এন্টি টিকেট
☑️ জিমবারান বে বীচে সী-ফুড ডিনার
☑️ Banana Boat, Parasailing, Jetski এই তিনটি রাইড
☑️ White Water Rafting (Primary 1 Hour) সেফটি ইকুইপমেন্ট, ট্রেইড গাইড সহ
যা অন্তরভুক্ত নাই
☑️ এয়ার টিকেট
☑️ খাবার
☑️ ব্যাক্তিগত খরচ, ঔষধ অন্যান্য
বালির ভ্রমন সংক্রান্ত যেকোন তথ্য, সহায়তার কিংবা আমাদের সাথে ভ্রমনের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
Contact With Us
01711829502,01971907752,01711907752
rftourstravelsbd@gmail.com
Office: 137/1 Gulshan Plaza (3rd floor) Gulshan Link Road Gulshan Dhaka